প্রকাশিত: Sat, May 6, 2023 5:07 AM
আপডেট: Tue, Jul 1, 2025 2:59 PM

বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মিলছে না, অনেক জেলে ফিরছেন শূন্যহাতে

উত্তম হাওলাদার: মাঝে মধ্যে দুই একটি ট্রলার অল্প কিছু মাছ পেলেও বেশিরভাগ ট্রলার সমুদ্র থেকে ফিরছে শূন্যহাতে। আড়তগুলোতে নেই আগের মতো কর্মব্যস্ততা।

শিববাড়িয়া নদীর দু’পাড়ের মৎস্য বন্দর মহিপুর ও আলীপুর আড়ত ঘাটে নোঙর করা রয়েছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার। বেকার বসে আছেন ঘাটে শ্রমিকরা। সাগরে ইলিশ ধরা না পড়ায় আনেক জেলেরা পুরনো ছেড়া জাল বুনছেন। তবে কর্মব্যস্ত মৎস্য বন্দরের মানুষগুলো কর্মহীন অবস্থায় সময় পার করছেন। 

জেলেরা জানান, প্রচণ্ড গরমে সাগরে মাছ নেই। বৃষ্টি না হলে সাগরে গিয়ে লাভ নেই। গত দুই মাসে ৫ বার সাগরে গিয়ে শুন্য হাতে ফিরে এসেছেন। প্রতিবারই বাজারের টাকা লোকসান হয়েছে। তাই এখন সাগরে না গিয়ে পুরানো জাল বুনছেন। তবে মাছের দেখা মিললে সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাবেন এমটাই জানিয়েছেন জেলেরা। 

মৎস্য শ্রমিক হাসান মিয়া বলেন, গত দুই মাস ধরে মাছ খুবই কম। ট্রলার ঘাটে আসলে কাজ থাকে। দিনের বেশিরভাগ সময় অলস থাকতে হয়। আয় কম, সংসার চালাতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। 

মৎস্য আড়ৎ মালিক আবু জাফর হাওলাদার বলেন, সমুদ্রে মাছ কম। বাজার সদায় করে ট্রলার সাগরে পাঠাই, ফিশিং শেষে শুন্য হাতে ফিরে আসে। গত মাসে আমার আট লাখ টাকা লোকশান হয়েছে।

আলীপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, ব্যবসার অবস্থা ভালো না। অন্য ব্যবসার চিন্তা করছি।

তিনি আরো বলেন, যে হারে বৈধ-অবৈধ ট্রলিং সমুদ্রে মাছ শিকার করছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মাছই থাকবে না। ট্রলিং জালে সমস্ত মাছের পোনা মারা যাচ্ছে। আমাদের সমুদ্রের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে হলে অবৈধ ট্রলিং জাল বন্ধ করতে হবে বলে তিনি জানান।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ইলিশ মাছ হচ্ছে গভীর সমুদ্রের মাছ। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রচণ্ড গরম, অনাবৃষ্টির কারণে মাছ কম পানিতে আসছে না। তাই কুয়াকাটার উপকূলে কম ইলিশ ধরা পরছে। আশা করছি আবহাওয়া পরিবর্তন হলে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়বে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান